করোনার সময়ে রমজান মাসে সুস্থ থাকার জন্য ও দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে ব্যালেন্স ডায়েট বা সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। রোজায় শরীরে প্রচুর পানির চাহিদা দেখা দেয়। তাই এ সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পানি, মৌসুমি ফল ও সবজির জুস বা স্মুদি, ঠাণ্ডা খাবার এবং আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে।
তাছাড়া অতিরিক্ত চিনিযুক্ত জুস বা খাবার না খেয়ে প্রাকৃতিক খাবার থেকে অ্যানার্জি নেয়াই ভালো। ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
সেহরিতে যা খেতে পারেনঃ
লাল চালের ভাত (স্বাভাবিক চালের ভাতেও সমস্যা নেই) এক কাপ, মিক্সড সবজি যেমন লাউশাক, মিষ্টিকুমড়া, শসা, পটোল, ঝিঙে, কচুশাক, কচু ইত্যাদি ১ কাপ, মাছ বা মুরগি ১ টুকরা, ডাল আধাকাপ, সঙ্গে দই বা লো ফ্যাট দুধ ১ কাপ। এ সময় ১-২টি খেজুর খেলে সারাদিন কিছুটা পিপাসা কম লাগবে। এ ছাড়া কেউ ভাত খেতে না চাইলে রুটি, চিড়া-দই, কর্ন ফ্ল্যাক্স-দুধও খেতে পারেন। অনেকেই সেহরির সময় একসঙ্গে বেশি পানি খেয়ে ফেলেন, এটা করা যাবে না।
ইফতারে যা খেতে পারেনঃ
খেজুর ৩-৪টি, হালকা গরম সবজি, মাশরুম, চিকেন বা ওটস স্যুপ ১ বাটি, সিদ্ধ ছোলা আধাবাটি, মুড়ি, ১টি সিদ্ধ ডিম, যে কোনো ফলের জুস যেমন আখের রস, কচি ডাবের পানি, দইয়ের লাচ্ছি, কয়েক ধরনের ফল ও দই মিলিয়ে তৈরি করা যায় স্মুদি অথবা খেতে পারেন ১ গ্লাস লাবাং। মাগরিবের নামাজের পর কম মিষ্টির পায়েস, পুডিং বা চিড়া-দই অথবা মিক্সড ফল দিয়ে ওটস ১ বাটি, প্যানকেক, কাটা ফল, ফলের সালাদ, ফলের কাস্টার্ড, চিকেন মোমো, ঘরে তৈরি মুরগির হালিম অথবা বেশি করে সবজি দিয়ে নুডুলস খেতে পারেন।
রাতের খাবার খেতে পারেন এমনঃ
রোজার মাসে রাতের খাবারটাও সেহরির মতো কিছুটা হালকা থাকতে হবে। ভাত ১ কাপ বা রুটি ২টি, মাছ বা মুরগি ১ টুকরো, সবজি ১ কাপ ও সালাদ ১ বাটি। যদি কেউ একটু বেশি ইফতার করে ফেলেন সে ক্ষেত্রে রাতে ভারী খাবার না খাওয়া উত্তম।