বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বারবারই বলছে করোনা আটকাতে পিসিআর বা পলিমারেস চেইন রি-অ্যাকশান পরীক্ষা করাই ভাল। কিন্তু বহু দেশই বিকল্প র্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিট পরীক্ষার পথ বেছে নিয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই কিটের জন্যে চিনের দ্বারস্থ হয়েছিল ব্রিটেন।
দুই চিনা সংস্থা অলটেস্ট ও ওন্ডফো বায়োটেক তাঁদের ২০ লক্ষ র্যাপিড ডায়াগনিস্টিক কিটের জন্যে টাকা দাবি করেছিল ২০ কোটি ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ব্রিটেন সম্মতও হয়ে যায় সেই অর্থমূল্য দিয়ে এই অত্যাবশক পণ্য কিনতে। আগাম অর্থ দিয়ে কেনা সেই করোনা কিটই এখন অচল।
ব্রিটেনের দাবি, যেমন প্রেগনেন্সি পরীক্ষার কিট হয়, তেমনই সহজ এই কিটটি, এমনটাই দাবি করা হয়েছিল ওই দুই সংস্থার তরফ থেকে।
এদিকে ওন্ডফো বলছে, এই কিটটি করোনা পজিটিভ রোগীর দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্যেই ব্যবহার্য।
আর অল্টটেস্টের দাবি,তাঁরা কখনও বলেননি তাঁদের কিট সাধারণের ব্যবহার্য। তাঁরা বলেই দিয়েছিলেন, এটি একমাত্র পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীরাই ব্যবহার করতে পারবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা গবেষকদল প্রমাণ করেছে এই কিটগুলি বাতিলযোগ্য। এর ফলে ওই র্যাপিড ডায়াগনিস্টিক পরীক্ষা করা ৫ কোটি নমুনা এখন ফেলে দিতে হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রশাসনকে। শুধু তাই নয় বাকি ১৫ কোটি কিটও ব্যবহার করা যাবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
এর ফলে শুধু বিপুল আ্রর্থিক ক্ষতিই নয়, বিপুল ঝুঁকি মুখেও ফেলেছে ব্রিটিশ প্রশাসনকে।