রাজধানীর ১৬টি এলাকা করোনাভাইরাসের রেড জোন বা স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে এরইমধ্যে ১০ জনেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ওই এলাকাগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব এলাকা লকডাউন করেছে প্রশাসন।
তথ্য মতে, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর একমাস ৮ দিনে বুধবার (১৫ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩১ জনে। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪৯ জন।
আইইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ১০ জনের অধিক করোনা আক্রান্তের মধ্যে ওয়ারীতে ২৬, মোহাম্মদপুরে ২০, টোলারবাগে ১৯, যাত্রাবাড়ীতে ১৯, ধানমন্ডিতে ১৮, লালবাগে ১৮, উত্তরায় ১৭, তেজগাঁওয়ে ১৬, বাসাবোতে ১৪, গেন্ডারিয়ায় ১৩, মগবাজারে ১০, মহাখালীতে ১০, মিরপুর১১-১১, মিরপুর১২- ১০, গ্রিনরোড-১০ ও বাবুবাজারে ১১ জন রোগী আছেন।
এছাড়া বনানী, গুলশান, বাড্ডা, আজিমপুর, আদাবর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, ঝিগাতলাসহ রাজধানীর ৯৮টি এলাকায় ৫১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা দেশের মোট রোগীর ৪৫ শতাংশের বেশি।
আইইডিসিআর বলছে, করোনার রেড জোন রাজধানীর অন্তত ১৬টি এলাকা। নারায়ণগঞ্জের পরেই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকা। তাই নাগরিকদের লকডাউন মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে সরকারি-বেসরকারি সূত্রের বরাতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করে ওয়ার্ল্ডোমিটার ডটকম। তাদের হিসাবে বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪৪ জন। প্রাণহানি সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৭।
আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫ জন। এখনো ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৫ জন সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।