বাংলাদেশে নতুন করে আরও চারটি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেলাগুলো হল লক্ষীপুর, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, ঝালকাঠি। এ নিয়ে মোট ৩৫টি জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আইইডিসিআর এর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য দিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা মহানগরীতে যা মোট শনাক্তের প্রায় ৫০%।
আবার ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৫% রোগী।
নতুন যে চার জেলায় সংক্রমণ হয়েছে তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইসিডিআর দেখতে পেয়েছে যে যাদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে তারা গত এক সপ্তাহে ঢাকা থেকে বা নারায়নগঞ্জ থেকে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। এমন অবস্থায় ভ্রমণ না করার আহ্বান জানান মিসেস ফ্লোরা।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪ জন।
এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১ জনে। মৃত্যুর মোট সংখ্যা ৩৪। যে ৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন পুুরুষ, একজন নারী।
এরমধ্যে ৩০ থেেক ৪০ বছর বয়সী রয়েছেন দুই জন। একজনের বয়স ৬০ বছরের মধ্যে। আরেকজনের বয়স ৭০-৮০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে দুইজনই ঢাকার বাসিন্দা।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ১৩৯ জনের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ, ৪৩ জন নারী। এরমধ্যে ৬২ জন ঢাকার বাসিন্দা। এদিকে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন তিন জন। মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩৯। সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হচ্ছে তরুণ বয়সীদের মধ্যে।
এতোদিন করোনভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি বলা হলেও, বাংলাদেশে তরুণ বয়সীদের মধ্যেই এই ভাইরাস বেশি শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য দেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৬২১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।
এরমধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের হার ২৫%। এছাড়া ২১% এর বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে।
এমন অবস্থায়, সব বয়সী মানুষকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাবধানে চলার পরামর্শ দিয়েছেন মিসেস ফ্লোরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩৪০টি।