করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত নিউ ইয়র্ক শহরে মৃত অজ্ঞাত রোগীদের গণহারে কবর দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম বড় কেন্দ্র মার্কিন এই শহরে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই অজ্ঞাত লাশ কবর দিতে সময়ক্ষেপণ করছে না কর্তৃপক্ষ। বড় গর্ত করে একসঙ্গেই পুতে ফেলা হচ্ছে লাশ। লাশ পুতে ফেলার বেশ কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে এসেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, নিউ ইয়র্কের হার্ট আইল্যান্ডে একটি বড় গর্তে লাশের কফিন ফেলতে দেখা যায় নিরাপত্তা কর্মীদের। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গণহারে কবর দেওয়ার হার ও আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেসব লাশের কোনো পরিচয় জানা যায় না, বা যাদের পরিবার শেষকৃত্যের খরচ বহন করতে পারে না, তাদের লাশ এভাবেই পুতে ফেলা হয়।
বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় নিউ ইয়র্কে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ এই শহরে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৮৪৪ জন মারা গেছেন।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্পেনে ১ লাখ ৫৭ ও ইতালিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভাইরাসের উৎস চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার জন। সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ হাজার ৭০০ জন। বিশ্বজুড়ে মোট ১৬ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯৭ হাজার জন।
খবরে বলা হয়, অজ্ঞাত লাশ কবর দেওয়ার ক্ষেত্রে হার্ট আইল্যান্ড ১৫০ বছর ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণত, এক সপ্তাহে এমন ২৫ জনের লাশ এখানে পুতে রাখা হয়। সপ্তাহে একদিনই এখানে পুতে ফেলার কাজ চলে। কিন্তু এখন সপ্তাহে ৫ দিন লাশ পুতে ফেলার কাজ চলে। প্রতিদিন প্রায় ২৪ জনকে এখানে কবর দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণত, রাইকার্স আইল্যান্ডের কারাবন্দীরা লাশ পুতার কাজ করেন। কিন্তু লাশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এই কাজ করছেন।