কথায় বলে‘কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ’। যেদেশে নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সেখানেই এবার বিয়ের ধুম। টানা দুই মাস লকডাউন থাকার পর উহান গতকাল তা প্রত্যাহার করেছে। এরপরই শহরটিতে লেগেছে বিয়ের ধুম।
গত ডিসেম্বরে উহানের পর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত ১৫ লাখের বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ এরইমধ্যে মারা গেছে। এদিকে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানারকম বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টানা দুই মাসের অবরুদ্ধ দশা কাটার পর উহানের যেসব জুটি প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা বিয়ের কাজটা সেরে ফেলতে চাইছেন। তাইতো বিয়ের পিঁড়িতে বসে তারা তাদের এই ‘নতুন জীবনকে’ উদযাপন করছেন।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন এসব নবদম্পতিকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেমন গতকাল লকডাউন প্রত্যাহারের পর সেদিনই বিয়ে করেছেন জু লিন। তিনি বলেন, আজ বিশেষ একটি দিন। আমার এবং উহানের জন্য আজ থেকে নতুন এক জীবন শুরু হলো।
গত শুক্রবার উহানের হুবেই প্রদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ বিয়ের নিবন্ধন পুনরায় চালু করে। কিন্তু লকডাউন থাকায় বিয়ের কাজটা সারতে পারছিলেন না অনেকে। অবশেষে গতকাল বুধবার লকডাউন প্রত্যাহার হলে অনেকেই বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করতে শুরু করেছেন।
উহানে সরকারি নানা অ্যাপ পরিচালনা করে টেক জায়ান্ট আলিবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলি পে। তারা জানিয়েছে, উহানে বিবাহ নিবন্ধনের গতি ৩০০ গুণ বেড়েছে। অ্যাপে ঢুকতে না পারায় অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ নিয়ে অভিযোগও করছেন।
লকডাউনের প্রত্যাহারের পরপরই এমনটা শুরু হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, চীনজুড়ে এখন বিয়ের ধুম পড়ে যাবে। অনেকে যারা বিয়ের পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন তারা করোনার কবলে পড়ে তা করতে পারেননি। অবশেষে তারা বিয়ের কাজটা সেরে ফেলছেন।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পরপরই বেইজিং কর্তৃপক্ষ শহরটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ঘরবন্দি করে রাখে ১ কোটিরও বেশি মানুষকে। পুনরায় চালু হয়েছে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাসিন্দারা এখন শহর ছেড়ে যেকোনো জায়গায় যেতে পারছেন।