যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের অন্তত ৭০ জন নাবিক নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওই যুদ্ধজাহাজাটির নাবিকদের জীবন রক্ষা করতে জরুরিভিত্তিতে ‘সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়া দরকার বলে মার্কিন নৌবাহিনীর নেতৃবৃন্দকে সতর্ক করেছেন রণতরীটির কমান্ডার, জানিয়েছে সিএনএন।
“আমরা যুদ্ধে নেই। নাবিকদের মরার দরকার নেই। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নেই, আমরা আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সম্পদ- আমাদের নাবিকদের সঠিক যত্ন নিতে ব্যর্থ হবো,” রণতরীর কমান্ডার ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ার মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিটের কাছে সোমবার পাঠানো এক মেমোতে এমনটিই লিখেছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন জন কর্মকর্তা সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন।
মেমোতে কমান্ডার ক্রোজিয়ার নাবিকদের জীবন রক্ষার ও বিশাল ওই রণতরীটিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
“রোগের বিস্তার অব্যাহত আছে এবং ত্বরান্বিত হচ্ছে,” বলেছেন তিনি।
জরুরিভিত্তিতে জাহাজে থাকা নাবিকদের সরিয়ে নিয়ে আইসোলেশনে রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পরিচয় না প্রকাশ করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের মধ্যে প্রায় ৮০ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে আর সবার পরীক্ষা শেষ হলে সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
পরীক্ষায় ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের যেসব নাবিক দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি তাদের গুয়ামে নামার অনুমতি দেওয়া হবে বলে দ্বীপটির গভর্নর লউ লিওন গ্যারেরো বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
ওই নাবিকদের গুয়ামের ফাঁকা হোটেলের কক্ষগুলোতে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে এবং সেখানে তাদের প্রতিদিন মেডিকেল চেকআপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই সংবাদ সম্মেলনে গুয়াম অঞ্চলের মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মেনোনি জানান, রুজভেল্ট থেকে নাবিকদের সরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
শুধু সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই কাজটি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক লাখ ৮৯ হাজার ৫১০ জন আক্রান্ত নিয়ে নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে গেছে।