১০ হাজার বছরের হিসাব ১ মিনিটে করবে হানিওয়েল এর কম্পিউটার।
এ ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি হানিওয়েল। এই প্রতিষ্ঠানটি এতদিন থার্মোস্ট্যাটের জন্য পরিচিত ছিল।
হানিওয়েল যে ধরনের ফিচারের কথা বলছে তাতে এই কম্পিউটার দিয়ে ১০ হাজার বছরের হিসাব
এক মিনিটেরও কম সময়ে শেষ হওয়ার কথা।
গত বছর অক্টোবরে গুগল নিজেদের কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কথা জানায়।
গুগলের দাবি, তাদের কম্পিউটার ১০ হাজার বছরের হিসাব দুই মিনিটেরও কম সময়ে করতে পারে।
হানিওয়েল ঘোষণা দিয়েছে, ‘গুগল, আইবিএমকে ছাড়িয়ে তাদের কম্পিউটার হবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসাবরক্ষণ যন্ত্র।’ হানিওয়েলের ঘোষণাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রযুক্তিবিদেরা।
ওয়াটারলুর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইনস্টিটিউটের সহপ্রতিষ্ঠাতা মিশেল মোসকা অইটিওয়ার্ল্ড কানাডা নামের একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটকে বলেন, ‘আইবিএমকে ছাড়ানো কঠিন কাজ। কিন্তু হানিওয়েল সিরিয়াস কিছু মানুষের একটি সিরিয়াস কোম্পানি।’ ‘তারা তিন বছর কিংবা তার বেশি সময় পরে আসবে এমনটি বলছে না। মাত্র তিন মাস সময় দিয়েছে। তাদের প্রতি আমার সম্মান আছে। আমার তো তর সইছে না।’
হানিওয়েল কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে কাজ শুরু করে কয়েক দশক আগে। এতদিন সেভাবে কিছু জানায়নি তারা।
কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মৌলিক একককে বলা হয় কিউবিটস। এটি তৈরি করতে হানিওয়েল ট্যাপড-আয়ন বা চার্জযুক্ত পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই প্রযুক্তি আইবিএম কিংবা গুগলের তুলনায় অতটা উন্নত না। কিন্তু হানিওয়েল বলছে, ‘উন্মোচনের পর আমাদের কম্পিউটার হবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার। কোয়ান্টাম ভলিউম কমপক্ষে ৬৪ হবে। যা অন্য কোম্পানির দ্বিগুণ।’ গত জানুয়ারিতে আইবিএম জানিয়েছিল, ৫৩-কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মধ্যে তাদের ভলিউম ৩২ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বাংলা নিউজ/ মোস্তাফিজুর রহমান