মোঃশফিকুল ইসলাম ষ্টাফ রিপোর্টার : গতকাল গাজীপুরে ৩ মার্চ রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় সালনা
হাবিবুল্ল্যাহ ময়দান জোন ৫, ১৯ নং ওয়ার্ড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জনগণের ভৃমিকা
ও সিটি কর্পোরেশনেরর করণীয় শীর্ষক সভা, জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত জনতার মুখোমুখি বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তরে জবাব দিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, গাজীপুর মহানগরীকে একটি আধুনিক
ও পরিকল্পিত নগরীতে পরিনত করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। যা দেশ স্বাধীন হওয়ার
পর গত প্রায় ৪৯ বছরেও হয়নি। শীঘ্রই গণশুনানীর মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হবে।
নগরীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নের এ মাস্টার প্ল্যানে জন্মের পর হতে মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে যা নির্মাণ করা প্রয়োজন
সেখানে তা-ই নির্মাণ করা হবে। কোন স্থাপনা কোথায় নির্মিত হবে তার উল্লেখ থাকবে সেখানে। ইতোমধ্যেই
মহানগরী জুড়ে চলছে এখন উন্নয়নের জোয়ার।
অনুষ্ঠানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা
এসএম সোহরাব হোসেন, কেএম জহুরুল আলম, মাহমুদা শাহরিন মাধবী, মো. হাসিবুল ইসলাম,
জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ সরকার, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক
মো. আতাউল্লাহ মন্ডল, মোঃ মাজহারুল ইসলাম দপ্তর সম্পাদক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ.১৬ নং
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল কাদির মন্ডল, ১৯নং
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. তানবীর আহমদ, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোশারফ হোসেন, ২৩ ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর মাওলানা মনজুর হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হান্নান মিয়া হান্নু.
আলহাজ্ব ছিদ্দিকুর রহমান সিদ্দীক সাধারণ সম্পাদক ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ,
আলহাজ্ব সেলিনা ইউনুস গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাহিমা আক্তার হোসনা
সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয়
গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র এলাকাবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দেশের অন্যান্য নগরীর চেয়ে গাজীপুর নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স সবচেয়ে কম ধার্য্য করা হয়েছে। আর সিটির অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার ট্যাক্স মওকুফ করে দেয়া হবে।
গাজীপুরের কাউলতিয়া ও আশেপাশের ওয়ার্ডে জাইকার সহায়তায় ৫টি স্কুল স্থাপন করা হবে। কোন কারখানায় যদি বর্জ্যশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ না করে পরিবেশ দূষিত করে। তবে সে সকল কারখানার লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে সিসি টিভির আওতায় এনে অপরাধ প্রবনতা কমিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগরীর উন্নয়নের জন্য আমাদের কি করণীয় আছে, আর নগরবাসী কি পেয়েছে তা দেখার জন্যই আমি বিভিন্ন এলাকায় জনতার মুখোমুখী হচ্ছি। অবহেলিত কাউলতিয়া, বাসন ও পূবাইল এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যোগাযোগসহ বাস্তবমূখি বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কারণ ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব এলাকায় তেমন উন্নয়ন হয়নি।
অবহেলিত এসব এলাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রশস্ত সড়ক এবং পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরো মহানগরী জুড়ে চলছে এখন উন্নয়নের জোয়ার।
তিনি আরো বলেন, আগে এলাকায় রাস্তা করার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তদবির করতেন। আর আমরা রাস্তা করার জন্য এখন আমি জনগণের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। এসব এলাকা আধুনিকায়নের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। যারা রাস্তার জন্য জমি দিচ্ছেন তাদের নামে ওই রাস্তার নাম করণ করা হবে।
আর নগরবাসীদের যাদের সন্তানরা বেকার রয়েছে তাদের চাকুরির ব্যবস্থা করা হবে। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ করার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।