দারুণভাবে ঘুরো দাঁড়ালো রংপুর রাইডার্স। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সকে তারা হারিয়েছে ৮ রানে।
শেষ তিন ওভারে খুলনার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৫ রান। সেখানে ১৭তম ওভারে ফরহাদ রেজা মাত্র ৫ রান দিয়ে তুলে নেন মাহমুদুল্লহর গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি।
পরের ওভারের প্রথম বলেই দলকে বিপদে রেখে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরিফুল হক। শফিউল ইসলামের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিনি করেন ১২ রান।
শেষ দুই ওভারে কার্লস ব্রাফেট এবং জহুরুল হকের দরকার ছিল ৩০ রান। ১৯তম ওভারে ১০ রান স্কোরবোর্ডে যুক্ত হরে শেষ ওভারে দরকার খুলনার দরকার হয় ২০ রান। আগের ওভারে দারুণ বল করা ফরহাদ রেজার হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেন জহুরুল। পরের বলে দুই রান নিয়ে আবারো স্ট্রাইকে আসেন জহুরুল হক। তৃতীয় বলে এক্সট্রা কাভারে জহুরুলের ক্যাচ অধিনায়ক মাশরাফির হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। চতুর্থ বলে ফরহাদের ইওর্কারে এক রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কার্লস ব্রাফেটকে। পঞ্চম বলে দুই রান নেন জহুরুল। এক বল হাতে রেখেই রংপুরের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ, শেষ বলে দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু জহুরুল সিঙ্গেল নিয়েই মাঠ ছাড়েন।
এরআগে মিরপুরে শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি রংপুরের। দলীয় ১৮ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফ বিদায় নেন মাত্র ৫ রানে। দ্বিতীয় উইকেটে নামা অ্যালেক্স হেলস বেশ সাবলীল ছিলেন। কিন্তু তিনিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৯ বল মোকাবেলা করে ১৫ রানে জহির খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর রাইডার্স ১৭৯/৩ (২০) হেলস ১৫, মিঠুন ১৯, রুশো ৭৬*, বোপারা ৪০*; ব্রাফেট ১/৩৯, জহির ১/৩০, আলি খান ১/৩৫।
খুলনা টাইটান্স: ১৬১/৫ (২০) স্টার্লিং ৬১, জুনায়েদ ৩৩, রিয়াদ ২৪; মাশরাফি ৩৫/১, শফিউল ৪৪/২, ফরহাদ ২৮/১, বিনি ১৯/১।
রংপুর রাইডার্স ৮ রানে জয়ী।