মালিক ফিরে গেলে নতুন করে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এনামুল হক বিজয় (৫) ব্যর্থ হলে চাপটা আরো বাড়ে। টি-২০’র বড় বিজ্ঞাপন শহীদ আফ্রিদি মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই তার সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
৩৪ বলে ৩৫ রান করে তামিম ফিরে গেলে দায়িত্বটা এসে পড়ে আফ্রিদির কাঁধে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করেছেন আফ্রিদি। দলকে এনে দিয়েছেন ৪ উইকেটের জয়।
শেষ ওভার অবশ্য কিছুটা রোমাঞ্চকর ছিল। কুমিল্লার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। অলক কাপালিরর প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নন স্ট্রাইকে আসেন দ্বিতীয় বল ডট দেন সাইফুদ্দীন। পরের বলে এক রান নিয়ে আফ্রিদিকে স্ট্রাইকে দেন। আফ্রিদি চতুর্থ বল ডট দিলে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ২ রান। তবে পঞ্চম বলটি একেবারেই লেগস্ট্যাম্পের বাইরে কনে কাপালি। আর ফলাফলটাও প্রত্যাশিতই। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে দলকে পৌঁছে দেন আফ্রিদি।
সাইফুদ্দীন ৫ রানে এবং আফ্রিদি অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার লিটন দাসকে (১) হারায় তারা। শুরু থেকেই মেহেদী হাসান, শহীদ আফ্রিদের বলে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন না অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। দলীয় ২৩ রানের সময় তিনি রানআউট হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১৪ রানে। ১৯ রানে আফিফ হোসেনকে বোল্ড করেন সাইফুদ্দিন। দ্বিতীয় উইকেটে নামা তৌহিদ হৃদয় পিচে ছিলেন ২৪ বল। কিন্তু রান তুলতে না পারার চাপে শেষ পর্যন্ত উইকেটটাই খোয়াতে হয় তাকে। ৮ রানে হৃদয়কে ফিরিয়ে সিলেটের ওপর চাপ বাড়ান আফ্রিদি।
ভরসার প্রতিদান দিয়ে চাম সামলাতে পারেননি সাব্বির রহমানও। ৭ রানে মেহেদী হাসানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর অলক কাপালিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন নিকোলাস পুরান। ২৫ বলে ৪১ রান করে দলীয় শতক পার করান তিনি। ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ শহীদের বলে আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ১৯ বলে ১৯ রান করেন কাপালি।
শেষ পর্যন্ত সিলেটের ইনিংস থামে ১২৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট সিক্সার্স ১২৮/৮ (২০.০) আফিফ ১৯, পুরান ৪১; মেহেদী হাসান ২৪/২, আফ্রিদি ২৯/১, সাইফুদ্দীন ১৩/২, শহীদ ২২/২।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩০/৬ (১৯.৫) তামিম ৩৫, স্মিথ ১৬, আফ্রিদি , সাইফুদ্দীন ; ইরফান ১৯/১, আল আমিন ২৭/২ লামিচানে ১৬/২।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ন্স ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা শহীদ আফ্রিদি।