উৎপাদন সঙ্কটে পড়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পাঁচ মাস পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য ইকোনোমিক টাইমস জানিয়েছে, বাম্পার ফলন হওয়ার কারণে দেশটিতে রবি মৌসুমে উৎপাদিত পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। গত বছরের মার্চে যেখানে ২৮ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে, সেখানে এবছর একই সময়ে বাজারে আসবে ৪০ লাখ টনের বেশি। আর দেশটির খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, আগামী এপ্রিলে পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে ৮৬ লাখ মেট্রিক টন যা গতবছরে হয়েছিল ৬১ লাখ মেট্রিক টন। ফলে কৃষকের স্বার্থে পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিতেই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালককে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে পেঁয়াজ রফতানি শুরু করবে ভারত।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর বাংলাদেশে এই পণ্যের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। এই নিত্যপণ্যের দাম প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা থেকে আড়াইশ’ টাকায় উঠে যায়।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার চীন, তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার থেকে আমদানি করে বাজার সামলানোর চেষ্টা চালালেও পেঁয়াজের দর এখনও একশ কেজির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
বুধবার এক টুইটে পাসোয়ান বলেন, যেহেতু পেঁয়াজের বাজার এখন স্থিতিশীল, ফলনও হয়েছে বাম্পার, তাই সরকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বলেন, এ মৌসুমে ভারতে প্রতিমাসে ক্ষেত থেকে ৪০ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে গত বছর উঠত মাসে ২৮ লাখ ৪০ হাজার টন।
গতবছর ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে দেশের ব্যবসায়ীরা মজুদ রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।