দুধ মহান আল্লাহর বড় একটি নেয়ামত। এ নেয়ামতের কথা পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। তার উদরস্থিত গোবর ও রক্তের মধ্য থেকে পান করাই বিশুদ্ধ দুধ, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু।’ (সুরা নাহল : ৬৬)।
প্রিয় নবী (সা.) দুধ খুব পছন্দ করতেন। মেরাজের রাতে নবী (সা.) এর সামনে জিবরাইল (আ.) দুধ আর মধু পেশ করে যে কোনো একটি গ্রহণের কথা বলেন। নবী (সা.) দুধ গ্রহণ করে পান করেন।
ঠাণ্ডা ও গরম দুধ খাওয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন– গরম দুধ খেলে উপকার বেশি। আসলে কি তাই।
এক গ্লাস দুধে আছে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ১২, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড়-দাঁত মজবুত করে। শক্ত করে পেশি। শরীরে পুষ্টি জুগিয়ে সুস্থ রাখে ওষুধ ছাড়াই।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন দুধ খেলে বেশি উপকার¬ ঠাণ্ডা না গরম। বিশেষ করে যাদের ল্যাকটোজ অ্যালার্জি আছে, তাদের কোন দুধ খাওয়া উপকারী।
ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। আর ভালো ঘুম বা হজমশক্তি বাড়াতে গরম দুধের প্রয়োজন। কোনটা আপনার জন্য উপকারী, সেটি আপনি ভালো বুঝবেন।
ঠাণ্ডা ও গরম দুধের উপকারিতা-
১. দুধ থেকে তৈরি খাবার যাদের হজম হয় না, তাদের খেতে হবে গরম দুধ। ঠাণ্ডা দুধ তুলনায় ভারী। হজম করা কষ্ট। আর গরম দুধে ল্যাক্টোজের পরিমাণ কম থাকে। তাই এই দুধ সহজে হজম হয়।
২. এক ঘুমে রাত কাবার করতে চাইলে ঠাণ্ডা নয়, বেছে নিন গরম দুধ।
৩. ঠাণ্ডা দুধ স্থূলতা কমায়। যারা গ্যাস্ট্রিক বা স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ঠাণ্ডা দুধ ভীষণ উপকারী। এতে বুক ও পেট জ্বালাও কমে। তাই খাবার পর রোজ আধ গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান। ওষুধ ছাড়াই সমস্যা কমবে।
৪. ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঠাণ্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে। তবে রাতে ভুলেও খাবেন না। এতে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।