চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদে বড় ধরনের বিদ্রোহের সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে বাদ পড়া কাউন্সিলররা যেমন প্রার্থী হচ্ছেন তেমনি নতুন প্রার্থীদেরও আবির্ভাব ঘটছে। অথচ এসব প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে রেখেছিলেন দলীয় হাইকমান্ড। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, এসব প্রত্যাহারপত্রের কোনো মূল্য নেই, সশরীরে কমিশনে এসে তা জমা দিতে হবে।
৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, যেহেতু আমি জনগণের জন্য কাজ করছি সেহেতু আমি নির্বাচন করবো। জনগণ আমাকে চেয়েছে।
২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ড বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম এ নাসের বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর আমি রাজনীতি করি, আমি আশা করেছিলাম আমাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, এরপরও যাকে দেয়া হয়েছে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস যেহেতু উচ্চপর্যায়ে একটা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, এই মনোনয়ন পরিবর্তনও হতে পারে।
দলীয় মনোনয়নের বাইরে প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে গণভবনের বৈঠকে ঢোকার আগে সবার কাছ থেকেই প্রত্যাহারপত্র নিয়ে রেখেছিলো দলীয় হাইকমান্ড।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে প্রার্থীকেই সশরীরে এসে তা জমা দিতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন বাবুল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে প্রার্থী হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, দলের প্রতি আস্থাশীলতা, আনুগত্য, শ্রদ্ধাশীলতা প্রকাশ করতে পারলেই ভবিষ্যতে দল তাকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করবে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের মধ্যে ৩৫টি এবং ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১১টি পেয়েছিলো আওয়ামী লীগ।