বহুল আলোচিত বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৯ সালের আজকের এ দিনে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে কিছু বিপথগামী জোয়ানের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা।
গত দেড় মাস আগে হাইকোর্ট ২৯ হাজার ৫৬ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। ২০১৩ সালে রাজধানীর বকশিবাজারে বিশেষ আদালতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের পর ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদি হয়ে লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করে। পরে মামলাটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায় নিয়ে বিপাকে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষ বলছে, আপিল করতে গেলে প্রত্যেক আসামির খরচ হবে ২২ লাখ টাকা করে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচরপতির হস্তক্ষেপ দরকার। এছাড়া, ধীরগতিতে চলছে বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম।
পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলায় ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ৫৫২ জনকে সাজা দিয়ে ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্টার রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্বের ইতিহাসে এতো পৃষ্টার রায় এটিই প্রথম।
বিষয়টি স্বীকার করে খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন তিনি।
হত্যা মামলার যখন এ অবস্থা তখন বিস্ফোরক আইনের অপর মামলা চলছে কচ্ছপ গতিতে। ১১ বছরে সাক্ষী হয়েছে মাত্র ১৪৫ জনের। ফলে হত্যা মামলা থেকে ২৫০ জনের বেশি খালাস পেলেও এ মামলার কারণে বের হতে পারছে না তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।