মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর মণিরামপুর হায়াতপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।শনিবার(১৫ই ফেব্রুয়ারি)দিবাগত গভীর রাতে এঘটনা ঘটে।ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান খবর পেয়ে রোববার(১৬ই ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।হাসপাতালে ভর্তি ধর্ষণের শিকার নারী জানান,তিনি আগে বৃদ্ধা মায়ের সাথে হায়াতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতেন।বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সাথে ভারতে চলে যান।সম্প্রতি স্বামীকে ভারতে রেখে তিনি মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন।শনিবার রাত দুইটার দিকে বাইরে থেকে ঘরে ফিরছিলেন তিনি।সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা ওই গ্রামের হাবিবুর ও তার এক সহযোগী জোর করে তাকে তুলে নিয়ে পাশের বাঁশ বাগানে ধর্ষণ করে।পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভোরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তবে ধর্ষণের বিষয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কেউ কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।এমনকি ওই নারীর মা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেন নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি ও বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ওই নারীর বৃদ্ধা মা এই প্রকল্পের বাসিন্দা।সে(ওই নারী)স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে ভারতে থাকেন। মাঝেমধ্যে সে গ্রামে আসে।দুই মাস আগে সে এখানে এসেছে।আব্দুর রাজ্জাক নামে তার এক দুলাভাইয়ের কাছে কিছু টাকা পেতো সে।লোকজন ধরে সেই টাকা আদায় করে কয়েকদিন আগে আবার হাবিবুরকে দিয়েছে। শনিবার বিকেলে যশোরে ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে।এরপর রোববার সকালে পুলিশ আসলে আমরা এই বিষয়ে জানতে পারি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন,চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়েছি।প্রকল্পের কেউ এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি।
যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, রোববার ভোর ৬টার দিকে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিজ উদ্যোগে চিকিৎসকরা আলামত সংগ্রহ করেছেন।পুলিশ চাইলে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি।ওই নারী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি ভিকটিমের স্বজনদের থানায় আসতে বলা হয়েছে।