মো: জহির হোসাইন, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ঐতিহ্যবাহী এশিয়ার সর্ববৃহৎ সরকারি মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি রেণুপোনা উৎপাদনে ৪৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করেছে। ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। বিগত সংসদে মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব নোমান অত্র হ্যাচারীর উন্নয়নে তৎকালিন মৎস মন্ত্রী মোহদয়ের আশ্বাসের পেক্ষিতে মন্ত্রনালের যুগ্নসচিব জনাব অসিম কুমার বালার কাছে হ্যাচারীর উন্নয়নে ১৩ দফা সুপারিশ নামা পেশ করেন । এ প্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব প্রেরন করা হয় । প্রস্তাব টি এখোনো আলোর মুখ দেখেনি । প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও এ রেকর্ড অর্জন করায় বিভাগীয় পর্যায়ে প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে। প্রজনন কেন্দ্রটিতে নানা সঙ্কট রয়েছে। এরমধ্যে জনবল ৮২ জনের মধ্যে মাত্র ১৭ জন, সংস্কারের অভাবে অনেক পুকুর অনুপযোগী,প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় ৫টি গভীর নলকূপের মধ্যে ২টি মাত্র সচল। এতো সমস্যা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদারের একান্ত প্রচেষ্ঠায় এই উৎপাদন অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।এদিকে জনবল ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ১ হাজার ৫০ কেজি ও প্রায় ৫০ লাখ কার্প জাতীয় মাছের পোনা উৎপাদিত হয়। এই মাছের রেণু বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে কৈ ও বিদেশি মাগুর মাছের রেণুর চাষ হচ্ছে। এখানে মাছের গুণগতমান উন্নত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জেলার ক্রেতারা পোনা ও রেনু ক্রয় করে থাকে ।এই ফিসারির মাছ দ্রুত বাড়ে এবং অল্প সময় বেশি লাভ হওয়ার কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির রেণুপোনা। বর্তমানে হ্যাচারিতে চায়না থেকে আমদানিকৃত চাইনিজ কার্প মাছের প্রজনন কার্যক্রম শুরু হবে। এতে করে অত্র এলাকার মৎস্য চাষিরা উপকৃত হচ্ছে।এছাড়াও বায়োমেটিক পদ্ধিতে চাষ পরিক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। যার ফলে অত্র এলাকার বেকার যুবকেরা অনেক উপকৃত হচ্ছে। রায়পুরের অভিজ্ঞ গুনি ব্যাক্তিরা বলেন আমাদের এলাকায় ফিস হ্যাচারীর পরিবেশ আগের তুলানায় অনেক সুন্দর জনবল সঙ্কট না হলে এই হ্যাচারীকে আরো অনেক এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো । এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছে এলাকা বাসী ।