অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টকে (এসডিজি) সামনে রেখে আগামী ২৯ জানুয়ারি ঢাকায় শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপি বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ফোরামের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিডিএফ-২০২০ এর উদ্বোধন করবেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এবারের বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। ফোরামের শ্লোগান হচ্ছে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর অংশীজন’।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবারের ফোরামটি বাংলাদেশ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশ এখন এলডিসির তালিকা থেকে উত্তোরণের সময় পার করছে এবং আশা করছি আগামী কয়েকবছর পরে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছে যাব। এর আগে বিডিএফ ফোরাম ২০১০, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মনোয়ার আহমেদ আরো বলেন, ‘এবার বিডিএফ ফোরাম ভিন্ন রকম গুরুত্ব বহন করছে- কারণ, সরকার এখন অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবার ফোরামে অংশগ্রহন করবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিডিএফ এর সিদ্ধান্ত বা সুপারিশসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি-না সেটা মনিটারিং করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এলডিসি উত্তোরণের কারণে আমাদের বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমরা এটা নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নয়, কারণ উন্নয়ন সহযোগিরা আমাদের সহায়তার করার বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক।’
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ইআরডি সচিব জানান, উন্নয়ন ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা আলোচনার ইস্যু নয়।
এবারের দু’দিনব্যাপী উন্নয়ন ফোরামে মোট ৮টি কর্মঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম এবার এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে এগিয়ে চলেছে। এখন ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একইসঙ্গে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছে সরকার।
এরই প্রেক্ষিতে এবার ফোরামে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রুপরেখা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের পদক্ষেপসমূহ বা বিভিন্ন আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার খাতে সরকারের মধ্যমমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট তুলে ধরা হবে।
দু’দিনের ফোরাম শেষে বিষয়বন্তুসমূহের উপর আলোচনা ও গৃহীত সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে একটি বিডিএফ কমুনিকে ঘোষণা করা হবে।