নির্বাচনে বিশ্বের অব্যাহত সমর্থনের পরও বিএনপির নালিশ করার প্রবণতা ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতা হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে ভূ-প্রকৃতিগত কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সরকারকে সর্তক থাকার পরামর্শও তাদের।
বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক যারা থাকেন তাদের কাজ হলো সেদেশের খবর যতটা বেশি তাদের দেশে পাঠাতে পারেন সেই চেষ্টা করা, তা তারা দ্রুত করেন। তাদের কাছে গিয়ে যেচে কেউ খবর দিলে তা তারা তো শুনবেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে যে সফল হয়েছে এটা সবাই স্বীকার করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও স্বীকার করে।
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা উঠে এসেছে বারবার। এমন প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জোটটির সঙ্গে বিশ্বের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সফিউল্লাহ বলেন, দূতাবাসের কোনো ভূমিকা নেই যে বাংলাদেশে যে রায় হয়েছে তা পরিবর্তন করবে। কোনো ক্ষমতা নাই, এটাকে একটা হীনমন্যতার পরিচয় বলবো আমি। আইনি ব্যবস্থা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন আছে, কোর্ট আছে। আইন যা বলে তাই হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান হারানোর পর এশীয় অঞ্চলের কাছাকাছি ঘাঁটি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তর্জাতিক এ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।