মো: জহির হোসাইন,লক্ষ্মীপুর :
বিলীন হওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহি খেজুর গাছ, কমে যাচ্ছে খেজুরের রস।শীতের সকালে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী নাস্তা ছিল খেজুরের রস।তখন শীতের সকালে গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুরের রসের নাস্তা না হলে গ্রামের মানুষ শীত যেন কাটে না।
একসময় সকাল থেকে খেজুর গাছ থেকে হাড়ি ভরা খেজুরের রস নামাতো, সেই রস সকালে গ্রামের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য হাড়ি ভোরে নিয়ে যেত।বাজার থেকে গ্রামের লোকজন বাজার থেকে রস কিনে বাড়িতে অথবা চাউল দিয়ে রসের নাস্তা তৈরী করতো। খেজুরের রস দিয়ে শুদু নাস্তা নয় তৈরী করা হতো খেজুরের গুড়, পাটালি মিঠাই, অনেকে খেজুরের মিঠাই , পাটলী মিঠাই বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো।এই দৃশ্য গুলো এখন কমে গেছে। আর পিছনে কারণ ১টাই সেটা হলো খেজুর গাছের অকাল হয়ে যাওয়া।
ঐতিহ্যবাহী শীতের নবান্ন উংসবের খেজুর রসের খির পুলিপিঠা রসের মন্ডামিঠাইসহ নানা মুখরোচক খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।খেজুর রসের চাহিদা ব্যাপক। শিশু বাচ্চারাও এ রস পান করার বায়না করে। কিন্তু বাজারে এখন আগের মতো খেজুর রস বিক্রি হয় না। দু’একজন বিক্রি করলেও চড়া দামের কারনে ও স্বল্পতা থাকায় চাহিদা মিটানো যায় না।
আগে প্রত্যেক গ্রামে রাস্তার পশে গাছিরা দুপুর থেকে গাছ কাটার সরঞ্জাম নিয়ে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ কাটতো আর চারদিকে গাছির গাছ কাটার ঠক ঠক শব্দ শুনা যেত । এখন আর গাছিদের গাছ কাটার ঠক ঠক শব্দ শুনা যায় না।খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে অযতনে মোর যাচ্ছে খেজুর গাছ বিলীন হচ্ছে ঐতিহ্য। খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছির সংখ্যা ও কমে গেছে ।
গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে এখনই এ দিকে কর্তৃপক্ষের নজর দিতে হবে। বেশি করে খেজুরের গাছ লাগাতে হবে এজন্য গ্রামের কৃষক ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এই ঐক্য ধরে রাখার জন্য এখনই সরকারি ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে ।