যশোর বিআরটিএ অফিসের দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। ঘুষ ছাড়া মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় না এ অফিসে। জেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী আনফিট গাড়ি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।এছাড়াও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে কেউ মোটা অঙ্কের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নানান হয়রানির শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ রয়েছে ওই অফিসের দুই তিনজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অফিস সহকারী খালিদ ও দালল প্রধান মুছার বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি অভিযোগ। মুছা এ অফিসের অঘোষিত মালিক। তার কথায় সহকারী পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওঠে-বসে। মুছার কথার বাইরে এক চুল পরিমান কাজ হয় না এ অফিসে।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিদিন। এ কারণে দিন দিন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলছে যশোর বিআরটিএ অফিসে।যশোর বিআরটিএ অফিসে সরেজমিন অনুসন্ধানকালে মোটরযান রেজিস্ট্রেশন করতে আসা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রত্যেকটি মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের সময় সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা এবং ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেশি টাকা নেয়া হয়ে থাকে। আর এ টাকা নির্ধারণ করে থাকে দালাল মুছা। এছাড়া অফিসের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল কর্মচারী ওই অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তারা সিন্ডিকেট করে লাখ লাখ টাকা অবাধে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অফিসের বাইরে গাড়ির শো-রুমের লোকজনও এ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।জেলার অভয়নগরের ব্যবসায়ী সোহেল রানা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি তার একটি মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যশোর বিআরটিএ অফিসে যান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়া হলেও বিভিন্ন অজুহাতে রেজিস্ট্রেশন দিতে টালবাহানা করা হয়। পরে তিনি বিআরটিএ অফিসের মুছার সাথে যোগাযোগ করেন। চার হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি তার মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করেন।এছাড়া লার্নার বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরেও বিআরটিএ অফিসের লোকজনকে টাকা দিতে হয়। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে লাইসেন্স পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।যশোর বিআরটিএ অফিসের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোটরযান