সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ১১ জন তাদের আইনজীবীদের সাথে নিয়ে প্রথমবারের মতো আদালতের শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। তবে বিবৃতিতে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
সেই সাথে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে ঘটে যাওয়া ২ অক্টোবরের এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে কেন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি তার ব্যাখ্যাও বিবৃতিতে দেওয়া হয়নি। এর আগে সৌদি আরব জানিয়েছিল, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়ে বলা হয়, ‘সরকারি কৌঁসুলিরা বিবাদীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন এবং হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার দায়ে বিবাদীদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।’
সৌদি যুবরাজের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে টান লাগে। সেই সঙ্গে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন যুদ্ধ বন্ধে নতুন করে আন্তর্জাতিক চাপের সৃষ্টি হয়।
গত বছরের ২ অক্টোবর বিয়েসংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়া ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
সৌদি রাজতন্ত্রের ক্ষমতার পালাবদলে রাজপরিবারের বিরাগভাজন হন একসময়ের প্রভাবশালী সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি। মূলত তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনা করে সৌদি সরকারের বিরাগভাজনে পরিণত হন।