আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে আনা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে একথা নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
হাসপাতাল থেকেই সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ ১ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বয়ং সৈয়দ আশরাফের জন্য ভোট চেয়েছিলেন। অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। সময় চেয়ে তার চিঠিটি স্পিকারের কাছে জমা দেয়া হয়।
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসায় ছুটে যান রাজনীতিবিদ, স্বজনরা। সান্তনা দেন শোকহত পরিববারকে। সৈয়দ আশরাফের ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম জানিয়েছেন শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ।
আশরাফের ভাই আশফাকুল ইসলাম বলেন, সব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে। কখন কোথায় কি হবে কি না হবে। কারন উনিই তো আমাদের পরিবারের একজন অভিভাবক। আমাদের তো বাবা, মা, চাচা সবাই মারা গেল। আমাদের তো কেউ নাই। অভিভাবক বলতে শুধু বড় ভাইয়া ছিল। এখন তো বড় ভাইয়া নাই।
সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শোকাবহ এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা ছাড়াও শোক জানান বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। একজন নির্মোহ রাজনীতিবিদের এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেননা কেউই।
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যমল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ ছিলেন তিনি। সাধারণত এই ক্যাটাগরির রাজনীতিবিদ আমরা দেখি না। ওয়ান ইলেভেনে যখন অস্থিত্ব সংকটে পড়ে দল তখন তিনিই দলের হাল ধরে ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অনেকেই। তারা বলছেন, সৈয়দ আশরাফের মৃত্যু একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি।