মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ) থানায় দেওয়া ধর্ষিতার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চৌগাছা শহরের একটি এলাকার বাসিন্দা ওই মেয়েটির একমাস আগে বিয়ে হয় উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের একটি গ্রামে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ি মেয়েটিকে নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সোমবার রাত আটটার দিকে মেয়েটি স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে বিলের (ধানক্ষেত) মধ্যে দিয়ে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কের হাজরাখানা মোড়ে শহিদ আলীর চায়ের দোকানের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তখন চায়ের দোকানি শহিদ আলী ফুঁসলিয়ে দোকানের পাশে মেহগনিবাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে দোকানের পাশে থাকা আব্দুল করিমের বাড়িতে রাখে। সেখানে রাতে করিম তার শ্লীলতাহানি করে। তবু তিনি ওই বাড়িতেই সারারাত থাকতে বাধ্য হন। পরে মঙ্গলবার সকালে বাপের বাড়িতে ফিরে বাবা-মাকে বিস্তারিত জানানোর পর থানায় মামলা করা হয়।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, আসামিদের বুধবার দুপুরে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযোগকারী নববধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।