ঈশাত জামান মুন্না
এদিকে জেলা সম্মেলনকে ঘিরে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, ২০১৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান নেতৃত্বে পায়। এর পর টানা ৮ বছর পেড়িয়ে গেলেও কমিটি গঠন কিংবা সম্মেলন হয়নি। তবে এবারের সম্মেলন ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতীবৃন্দ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। এর একটি গ্রুপে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক ও জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাড. মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা স্বপন ও জেলা যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদল আশরাফ সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় করবেন। যে কারণে জেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ বিভক্ত হওয়ার কারণে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় প্রবীণ নেতাকর্মীরা।
তাছাড়া হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম কমিটি গঠন করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, যদিও পাঁচটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার সন্মেলন সম্পূর্ণ করার জন্য কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও ইত্যিমধ্যে দুটি উপজেলায় সম্মেলন সম্পূর্ন হয়েছে। এতে হাতীবান্ধা উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের বড় ছেলে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান সোহাগ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। একই দিনে পাটগ্রাম উপজেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বাবু পূর্ন চন্দ্র রায় সভাপতি ও রুহুল আমিন বাবুল পুনরায় সম্পাদক নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে ঝিমিয়ে পড়েছে কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা আ’ লীগের কমিটি, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে কার্যক্রম নতুন করে কমিটি গঠন বা বর্ধিত সভার কোনো আয়োজন নেই সরকারি এ দলটির। ১১ ডিসেম্বর জেলা সম্মেলনকে ঘিরে লালমনিরহাট-২ আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই কোনো উৎসবের আমেজ। ফলে হতাশ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
লালমনিরহাট জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। এই দলে কোন দ্বন্দ্ব নেই। নেতাকর্মীরা নেতৃত্ব চাইতেই পারে। আর নেতৃত্বের জন্য প্রতিযোগিতা মানে এই নয় যে সংঘর্ষ হবে,আশাকরি শান্তি পূর্ণভাবে সম্মেলন হবে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক (পিপিএম) বলেন, আওয়ামীলীগের সম্মেলন ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ নিরাপত্তার দায়ীত্বে থাকবে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা হতে দেওয়া হবে না।