আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। তুমুল গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়। ২৯ বছর আগে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদ। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তার ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। দ্বিতীয়বার গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ।
দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ আর বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পালন করে। জনসাধারণের কাছে দিনটি পরিচিতি পায় ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবে। তবে এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন।এরশাদের বিরুদ্ধে চলমান গণ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাসে ১৯৯০ সালের ১ ডিসেম্বর এক জরুরি বৈঠক করেন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তারা। আন্দোলন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত—এটাই ছিল ওই বৈঠকের মূল এজেন্ডা। এর মাত্র চার দিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে ডা. শামসুল আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলন তখন স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ আবারও সামরিক আইন জারি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন, তারা আর এরশাদের পেছনে থাকবেন না। মূলত ওই দিনই প্রতাপশালী স্বৈরাচার এরশাদের ভিত নড়ে যায়।৪ ডিসেম্বর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পরের দুই দিনে তার পদত্যাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।