সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। চাঁদাবাজি বন্ধ ও বর্ধিত বেতনসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের পাঁচ নম্বর খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার।গেল ২০ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবিতে মালিকপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন নৌযান শ্রমিকেরা। জানা গেছে, তাদের সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নৌপরিবহন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেবেন মালিক। এটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা তদারক করবে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর। এছাড়া এ খাতের শ্রমিকদের খাদ্যভাতা দেয়ার বিষয়ে বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের বিষয়ে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়।গত বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত পূর্ব ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন থেকে সরে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে আমরা শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ মালিকই সেই সভায় অংশ নেননি। আর এসব সিদ্ধান্ত যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা। তাই শ্রমিক প্রতিনিধিদের সভায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি চলবে।’
সুত্র : আর টি ভি