মো.নাছির উদ্দিন -হোমনা-কুমিল্লা-প্রতিনিধি।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মুন্সিকান্দি মাথাভাঙ্গা গ্রামের এবং রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম আব্দুল মতিন (৫৩) দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্বক জখম হয়ে আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত অনুমানিক সোয়া ৮ টার সময় উপজেলার রামকৃষ্ণপুরের আড়ালিয়ায় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত প্রধান শিক্ষক
এটিএম আব্দুল মতিন নিজে বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতেই হোমনা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। হোমনা থানার মামলা নং-১০, তারিখ-২৫/১১/১৯ খ্রি.। মামলার পর ঐদিন রাতেই ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়ায় ৩ জনকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে আড়ালিয়া কান্দি ভাড়াটিয়া বাসায় যাওয়ার সময় হাক্কু মিযার পুকুরের পশ্চিম পাড়ে পৌছালে একদল দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের দিয়ে এলোপাথারী আঘাতে তিনি মারাত্বকভাবে জখম হয়ে আহত হন এবং উনার সাথে থাকায় সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম ও (৩৪) আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রামকৃষ্ণপুর বাজারের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল বাশার মোল্লা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন এবং সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী রুহুল আমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত প্রধান শিক্ষককে দেখতে যান।
আহত প্রধান শিক্ষক এটিএম আব্দুল মতিন বলেন-গত কয়েক মাস পূর্ব হইতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ন তথ্য প্রকাশ করিয়া আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করায় আমি তার প্রতিবাদ করি, এর জের ধরেই আমার উপর হামলা চালাতে পারে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অহেদ মুরাদ বলেন-থানায় মামলা রজ্জু করা হয়েছে। মামলার পর ঐদিন রাতেই ৩ জন আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছি এবং অন্যান্য আমামীদেরতেও ধরার চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শক্রতার জেরেই এ হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত চলছে, আশা করি তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা জানা যাবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী বলেন-আহত প্রধান শিক্ষক নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আমরা মামলা নিয়ে থানায় মামলা রজ্জু করেছি এবং মামলার পর ৩ জন আসামিকে ধরতে পেরেছি। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।