এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময়, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠককে কেন্দ্র করে আশাবাদী বাংলাদেশ। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সবশেষ প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার সময়, চীনা প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য জাতিসংঘে বহুপাক্ষিক আলোচনারও আশা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকা পেতে হলে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই।
দীর্ঘ এই সময়ে নিপীড়িত এসব মানুষের ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে কূটনৈতিকভাবে নানা পর্যায়ের চেষ্টা করা হলেও ফল শূন্য। গেলো দু’বছর সংকট সমাধানে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফায় দফায় সমাধান প্রস্তাব উত্থাপনের পরও মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে নিস্ক্রিয় বিশ্ব সম্প্রদায়। প্রত্যাবাসনের দুই দফা নিস্ফল উদ্যোগের মধ্যেই আবারো নিউইয়র্কে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের অধিবেশন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এবারের সম্মেলনে বহুপাক্ষিক আলোচনায় মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে আহ্বান থাকবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এবারের পতিপাদ্য থেকে মাল্টিলেটিজম, এই বহুপাক্ষিক অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতে হবে। এবং আমরা মনে করি আমরা সঠিক পথেই আছি।
তিনি জানান, চীনের মধ্যস্থতায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে কার্যকর অগ্রগতির প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ।
তবে, কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ বৈঠক থেকে ফল পেতে সরকারকে কৌশলী হতে হবে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এখন কিন্তু আমরা চীনাদের স্পস্ট করে বলার প্রয়োজন মনে করছি। তারা যে যাবে তার গ্যারান্টি কে দিবে।
সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়সারা মনোভাব পরিবর্তনের পাশাপাশি, মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য কূটনৈতিকভাবে আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে নীতিনির্ধারকদের, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।