ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আসামে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে থাকতে দেয়া হবে না। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো থেকে ৩৭১ ধারা প্রত্যাহার করা হবে না বলেও জানান তিনি। রোববার উত্তর-পূর্ব পরিষদের ৬৮তম প্লেনারি অধিবেশনের সূচনায় এ কথা বলেন অমিত।গত বছর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ শুরু হয়। তখনই এনআরসি’কে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, নাম বাদ পড়া ৪০ লাখ মানুষ অনুপ্রবেশকারী। তথ্যবিভ্রাট সামাল দিতে পরে দল বহু চেষ্টা করলেও অমিত শাহর মুখে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা পেয়ে ক্ষিপ্ত ছিলেন খসড়া থেকে বাদ পড়ারা।এ বছর ৩১ আগস্ট যখন চূড়ান্ত এনআরসি থেকে ১৯ লাখের নাম বাদ পড়ে তখন থেকে ফের বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, কোথায় গেলেন অমিতের হিসেবে থাকা বাকি ২১ লাখ অনুপ্রবেশকারী?এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এনআরসি-পরবর্তী আসামে এই প্রথম পা রাখলেন অমিত। ইতোমধ্যে তার দল রাজ্যে এনআরসির তীব্র সমালোচক হয়ে উঠেছে। রাজ্য সভাপতি রঞ্জিৎ দাস ও অর্থমন্ত্রী তথা নেডা চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মারা স্পষ্ট দাবি করেন, এই এনআরসিতে অনেক ভারতীয় বাদ পড়েছেন। ঢুকেছে অনেক বিদেশির নাম। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপি গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপিও দেয়। অমিত শাহ বলেন, আশ্বস্ত করছি কোনও অনুপ্রবেশকারীকে ভারত সরকার আসামে থাকতে দেবে না।অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উত্তর-পূর্বেও ৩৭১ ধারা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে অমিত বলেন, বিরোধীরা কেবল কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবাদই জানাননি, পরে ৩৭১ ধারাও লোপ পাবে বলে প্রচারও চালিয়েছেন। উত্তর-পূর্বকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে।তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা ছিল অস্থায়ী অনুচ্ছেদ। কিন্তু ৩৭১ স্থায়ী ধারা। আট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশ্চিন্ত করছি, ৩৭১-এ থেকে জে পর্যন্ত সব ধারা বজায় থাকবে। যারা উত্তর-পূর্বে অশান্তি চায়, তারাই এই প্রচার চালিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করতে চাইছে।
সুত্র : আর টি ভি