আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ বড়দিন। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুর ধরাধামে আবির্ভাব ঘটে। ২ হাজার ১৪ বছর আগে এদিনে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিনটিকে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকেন। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি। যাকে মা মেরি নামে ডাকে খ্রিস্টানরা। ‘ঈশ্বরের আগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মা মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস- বাংলায় এর নাম হল ‘যিশু’। খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তক যিশুকে মুসলমানরাও শ্রদ্ধা করেন। তবে ইসলাম ধর্মমতে, যিশু হচ্ছেন হজরত ঈসা (আ.)। আর তার কুমারী মায়ের নাম বিবি মরিয়ম। মুসলিমদের বিশ্বাস ঈসা (আ.) মৃত্যুবরণ করেননি। বিপথগামীরা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করতে চাইলে আল্লাহ তাকে আকাশে তুলে নেন। শেষ জমানায় দাজ্জালের ধোঁকা থেকে মানবতাকে রক্ষায় হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর অনুসারী হয়ে পৃথিবীতে তার পুনরাগমন ঘটবে বলে বিশ্বাস করেন মুসলিমরা। বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা এতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সরকারি ছুটি।