গত ১৮/০৮/১৯ ইং তারিখে মতিঝর্ণা এলাকার ৭নং গলিতে অতিবৃষ্টি ও ভারিবর্ষণে পাহাড় ধসের ঘঠনা ঘটে । যেটা নিতান্তই একটি প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা।
আর এই দুর্ঘটনাকে পুজি করে হত্যা,গুম,ধর্ষণ ও আপহরন মামলার আসামী নুরুল আলম ও তার ছোট ভাই নুরুল আজম প্রতিপক্ষকে ফাশাতে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে।
ঘটনা পর্যালোচনা করে জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে ফাটল হয়ে থাকা নুরুল আলমের ঝুঁকি পূর্ণ পাহাড়টির কিছু অংশ
জাবেদের বসত বাড়ির ওপর ধসে পরে, এতে জাবেদের বসত বাড়ির ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। জাবেদ উক্ত ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জনাব এ,এফ কবির আহাম্মেদ মানিক সাহেব কে লিখিত ভাবে অবগত করেন। কাউন্সিলর মহোদয় করণীয় ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষকে গত ২০/৮/১৯ ইং তারিখে কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ নুরুল আজম নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত না হয়ে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে রূপ দিতে তৎপর হয়ে ওঠে। তারই অংশ হিসেবে পূর্বের ন্যায় পাহাড়ি ধসের ঘটনাকে পাহাড় কাটার রূপ দিয়ে প্রশাসনের নানা মহলে পরিবেশ অধিদপ্তরে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ প্রদান করেন ভ্রিভান্ত ছড়ায়। যেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ছড়িয়ে দেয়। তৎপরবর্তীতে যার ফলস্রুতিতে কয়কদফা স্থানীয় প্রশাসন খুলশি থানার এস,আই মোহাম্মাদ শাখায়াত হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনা স্থলে পরিদর্শনে আসলে জানতে পারে ঘটনাটি আসলে পাহাড় ধসের ঘটনা না। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নুরুল আজমের একটি মিথ্যা ঘটনা জন্ম দিয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলের পাহাড় ধসের আলামত ছবি তোলে সংগ্রহে রাখেন।
ইতিমধ্যে নরুল আজম প্রশাসনিক ভাবে জাবেদকে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়ে গত ২৬/০৮/১৯ ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর পরিচালক জনাব আজাদুর রহমান (মল্লিক) সাহেবের বরাবর একটি পাহাড় কাটার অভিযোগ দাখিল করে। একই তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুইজন আফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষকে ২৯/০৮/১৯ তারিখে কার্যালয়ে শুনানির জন্য পরিচালকের দপ্তরে হাজির হতে নোটিশ প্রদান করেন। সর্ব শেষ ০১/০৯/১৯ তারিখে শুনানি শেষে পরিচালক জনাব আজাদুর রহমান (মল্লিক) সাহেব পাহাড় কাটার অভিযোগ মিথ্যা এবং বর্তমানে অভিযুক্ত পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মর্মে আদেশ প্রদান করেন।