মোঃ খোরশেদ আলম ( মুরাদনগর প্রতিনিধি) ঃ
র্যাব ১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীন জিয়ারকান্দি সাকিনস্থ “”মোহন জেনারেল হাসপাতালে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার ইশরাত জাহান (৩০)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ ইশরাত জাহান (সিপু), এমবিবিএস, সিএমইউ এন্ড ডিএমইউ (ঢাকা), পিজিটি (গাইনী এন্ড স্বাস্থ্য) নামীয় বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড ও রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ-০১টি, ভূয়া অটোসীল-০১টি, স্পেনোমিটার-০১টি জব্দ করা হয়।
এছাড়া পৃথক আরেকটি অভিযানে দাঊদকান্দি থানাধীন গৌরীপুর বাজারের আমির খাঁ মার্কেটের ২য় তলায় “”পূর্ণ কেয়ার সেন্টারে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মোঃ আবু সাঈদ (৩৮)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, এমবিবিএস, সিএমইউ আল্ট্রা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ডিএমইউ, সিপিআর (বারডেম হাসপাতাল), সিটিএম (নাক, কান, গলা, মেডিসিন), মেডিসিন, মা ও শিশু (সনোলজিস্ট) নামীয় বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), লিফলেট ও ভূয়া অটোসীল-০১টি জব্দ করা হয়।
একই সময়ে আরোও একটি অভিযানে উক্ত এলাকার গৌরীপুর বাজারের সামিহা প্লাজার ২য় তলায় “”পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে” নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার মহসিন মিয়া (৩৯)কে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ডাঃ মহসিন আহম্মেদ সরকার, ডিএমসি, সিএইচডব্লিউ, বিএইচই, স্বাস্থ্য, সিএ ইউ আল্ট্রা, মা ও শিশু গাইনী, চর্ম ও যৌন, নাক, কান, গলা অভিজ্ঞ এক্স পিটি ইন জেনারেল হাসপাতাল কুমিল্লা নামীয় রোগীর দেখার প্রেসক্রিপশন (যেখানে তার স্বাক্ষর আছে), বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ-০১টি, ভূয়া অটোসীল-০১টি, স্পেনোমিটার-০১টি জব্দ করা হয়।
আটককৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদের’কে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে আসছে।
র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তাদের এমবিবিএস ডাক্তারি সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে তারা কোন এমবিবিএস ডাক্তারি সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখাতে পারেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিএমডিসির নিবন্ধনকৃত এমবিবিএস ডাক্তার ও বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসাপাতালে নিয়মিত রোগী দেখাসহ তাদের প্রেসক্রিপশন দিয়ে আসছে।
আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।