অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েট জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ইসলামি সংস্থাটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানায় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন। কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিকভাবে দেয়া মর্যাদার কথাও উল্লেখ করে সংস্থাটি।ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারিয়েট বিজ্ঞপ্তিটিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জম্মু ও কাশ্মীর বিতর্ক মর্যাদার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করে।মুসলিম দেশগুলোর এই সংস্থা কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে ওআইসি সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নেয়া প্রস্তাবগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।ওআইসি তাৎক্ষণিক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নেয়ার, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহালের এবং কাশ্মীরের জনগণের মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে অঞ্চলটিতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলেও উল্লেখ করে ওআইসি।গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।ভারতের এসব পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।# আর টি ভি