আব্দুল আলীম, চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন (৭) বলাৎকারের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খড়িঞ্চা গ্রামের একটি মাঠের পাট ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। বলাৎকারের শিকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রটি চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে একই গ্রামের শরিফুলের কলেজ পড়ুয়া ছেলে ফিরোজ।
বলৎকারের শিকার হওয়া শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত বছরের শিশু ইয়ামিন দুপুরে তাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসলের জন্য যাচ্ছিলো। এসময় ফিরোজ শিশুটিকে ভালিয়েভুলিয়ে ডেকে নিয়ে মাঠে পাট ক্ষেতে নিয়ে তার উপর চরিত্রগত নির্যাতন করে। এতে শিশুটির অনেক রক্তক্ষরণ হয়। এই বিষয়টি শিশুটি তার বাড়িতে ফিরে এসে মাকে বললে তারা চিকিৎসার জন্য চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান শিশুটি অধিক রক্তক্ষরণ এবং শারীরিক ক্ষতের শিকার হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত ফিরোজকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, চৌগাছায় প্রতিনিয়ত চলছে শিশু ধর্ষণ। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনসহ থানা-পুলিশ এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে তাদের দাবি। কারণ খুবই চেষ্টা চালিয়ে কোনো কায়দায় ধর্ষককে আটক করে আদালতে প্রেরণের পরে টাকা খরচ করে জামিন নিয়ে ফেরত আসছে। ফলে আমাদের সমাজে ধর্ষণ কমছে না বরং বাড়ছে। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হলে সমাজে এমনটি ঘটবে না বলে অনেকে জানান। এক্ষেত্রে আইন ও উপজেলা প্রশাসনকে অধিক পরিমাণে কাজ করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি করেন। অনেকেই শিশু ধর্ষণকারীর শাস্তি হিসাবে সরাসরি ক্রসফায়ারের দাবি জানান। তাদের ধারণা এমন শাস্তি হতে হবে যা দেখে কেউ আর এই ধর্ষণ নামক কাজের চিন্তাও করতে পারবে না।