উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষিয়ে তুলছে রোহিঙ্গারা। ইয়াবা পাচার, চুরি-ডাকাতি ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গাদের অনেকে। এসব কারণে স্থানীয়দের জন্য রোহিঙ্গারা এখন বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।২০১৭ সালে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর স্মরণকালের ভয়াবহ বর্বরতা শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। তাদের উপর চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ বীভৎস সব নির্যাতন। এতে প্রাণরক্ষায় দলে দলে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুরা। মানবিকতার কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের সীমান্তপথ খুলে দিয়ে নিপীড়িত প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার।সীমান্তের দুই উপজেলার সাড়ে ৮ হাজার একর পাহাড়ি বনভূমিতে আশ্রয়স্থল তৈরি করে ৩৪টি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে নতুন পুরোনো প্রায় সোয়া ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে। বাংলাদেশের এ মানবিকতা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।গত দুই বছরে ৪ শতাধিক মামলার আসামি হয়েছে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। এসব মামলায় কারাভোগ করছে প্রায় ১১০০ রোহিঙ্গা। এমন পরিস্থিতিতে তড়িত প্রত্যাবাসন না হলে আগামীর দিনগুলো নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয়রা।অপরাধের সাথে জড়িত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করলে উখিয়া-টেকনাফসহ আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।