একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গুনছে সারাদেশ। ভোট উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকার উত্তাপ যেভাবে বাড়ছে, ঠিকই একই গতিতে কমছে নগরীর মানুষের সংখ্যা। পেশাগত কারণে ঢাকায় অবস্থানকারী অনেকেই নিজের ভোটটি দিতে গ্রামের যাচ্ছেন। এছাড়া টানা চারদিন ছুটি থাকায় বাড়িতে যাওয়ার আগ্রহও একটু বেশি দেখা গেছে। ফলে ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে ঢাকা হচ্ছে ফাঁকা! বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনে ভিড় দেখা গেছে। গাবতলি বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় থাকা রিফাত নামের একজন বললেন, ভোট দেয়ার জন্য নিজ গ্রাম রংপুরে যাচ্ছি। টানা চারদিন ছুটি থাকায় পরিবার নিয়েই যাচ্ছি। তার ওপর বাচ্চাদের ছুটি। সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা।’ কমলাপুর রেলস্টেশনেও যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে সুমনা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, লম্বা ছুটি পেয়েছি। এক ধরনের ঈদ ঈদ অনুভূত হচ্ছে। পরিবার নিয়ে ভোট দিতেই সিলেটে যাচ্ছি। অনেক মজা করবো, ভোটও দেব।’ যাত্রীদের চাপ সাধারণ সময়ে তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে বিমানবন্দর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে কর্মরত আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোট দেয়ার জন্য মানুষ ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বৃহস্পতি এবং শুক্রবারের টিকেটের জন্য বেশি মানুষ ভিড় করছেন।’ তবে কাঙ্ক্ষিত টিকিট না হওয়ায় হতাশও হচ্ছেন কেউ কেউ। মোহাম্মদ জারিফ সরকার নামে একজন বলেন, ‘রংপুর থেকে আমার খালা এসেছেন কয়েকদিন আগে। এখন ফিরে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু অনেক ঘোরাঘুরি করেও টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। ভোটের আগে টিকিট পাবো বলেও মনে হচ্ছে না।’ যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ: আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়িয়ে চলার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় রোববার (২৩ ডিসেম্বর) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত সড়কপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এর আওতায় রয়েছে- বেবি ট্যাক্সি/অটো রিকশা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু, স্থানীয় পর্যায়ে যন্ত্রচালিত বিভিন্ন যানবাহন। আর ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) দিনগত রাত ১২টা থেকে ১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে, রিটার্নিং অফিসারের অনুমিত সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র থাকতে হবে। সূত্র : সময় নিউজ