মো.নাছির উদ্দিন-বাঞ্ছারামপুর -ব্রাহ্মণবাড়িয়া -(প্রতিনিধি)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদরের তিতাস ইউনিটি পাইভেট হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় মাতৃগর্ভের সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রসূতি রত্না আক্তার (২৫) বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইমাম নগরের মৃত মহন মিয়ার মেয়ে এবং উপজেলার পাড়াতলী গ্রামের মো.জাকির হোসেনের স্ত্রী। নিহতের স্বামী জাকির হোসেন জানান,১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকালে ৩টা ৩০মিনিটে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে স্ত্রী রত্না আক্তারকে নেয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে ডাঃ জাহিদুল ইসলাম এনেস্হিশিয়া প্রয়োগের কিছুক্ষন পর মেয়েটির শরীল ফুলে গিয়ে চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিছুক্ষন পর জানানো হয় রোগীর অবস্থা অাশংকাজনক তাকে ঢাকা নিতে হবে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে প্রসূতিকে হাসপাতালে রেখে ডাক্তারসহ পালিয়ে যায়। সাথে সাথেই রোগী মারা যায়। রোগীর পরিবার অভিযোগ করেছেন, ভূল চিকিৎসায় ডাক্তার রত্না আক্তারকে মেরে ফেলেছে। এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। রত্না আক্তারে একটা ৩ বছরের আরেকটা ৬ বছরের সন্তান রয়েছে। রোগীর স্বামী অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। প্রসূতি রত্না আক্তারের গর্ভে থাকা পুত্র সন্তানটি ও মারা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো.শাহ আলম বলেন মামলা হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে,
চিকিৎসায় যদি কোন প্রকার গাফলতি প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন,আমি খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি,অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।