জেলার সদর উপজেলার পাশাপাশি বাকী ৫ টি উপজেলাতে জেলা পুলিশ সুপার এর বিশেষ নির্দেশে, নিজ নিজ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দের উদ্যেগে ডেঙ্গু নিধনে সচেতনতার পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারী গিরজা সংকর মডেল স্কুল এন্ড কলেজসহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট- বাজারে জনসচেতনতা র্যালি ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরজু মোঃ সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে থানা চত্তর পরিস্কার এবং মশক নিধন স্প্রে করা হয়েছে।জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক লিফলেট প্রদান করা হয়েছে।
হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ওমর ফারুক এর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে, এবং র্যালি শেষে থানার আশেপাশের ঝোপঝার পরিস্কার করা হয়েছে এবং মশক নিধন স্প্রে করা হয়েছে। ডেঙ্গু ও সকল ধরনের গুজব প্রতিরোধে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সদা জাগ্রত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক জানান, মানুষের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই আমাদের এই মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ডেঙ্গুগুর প্রাদুর্ভাব যেন বিস্তৃত না হতে পারে সেজন্য সবাইকে সাথে নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মূলত এ অভিযান। জেলা পুলিশের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলেও জানা গেছে। জেলা পুলিশ সুপার এর মহতি উদ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সর্বস্তরের জনগণ।
উল্লেখ্য সারাদেশে দিন দিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে ইতোমধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা ও চিকিৎসকসহ অর্ধশত মানুষের প্রাণ গেছে বিগত কয়েকদিনে । এতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে। ব্যপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা পুলিশ সুপার।