ডেঙ্গু আতঙ্ককে পুঁজি করে রটানো হচ্ছে গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মুহূর্তেই ভুল তথ্য শেয়ার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এডিসের লার্ভা থাকে পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানিতে। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, কমোড কিংবা বেসিনে হারপিক ও ব্লিচিং পাউডার একযোগে ছড়ালে মুক্তি মিলবে এডিস মশা থেকে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানালেন, এটি করলে রাজধানীর সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হবে। যা ডেকে আনবে মারাত্মক পরিবেশ ও মানবিক বিপর্যয়। তাই গুজবে কান না দিতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডেঙ্গু নিয়ে গুজবের পরিণতি ডেকে আনবে মারাত্মক বিপর্যয়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানালেন, হারপিক আর ব্লিচিং পাউডার পানির সঙ্গে মিশে তৈরি হবে বিষাক্ত গ্যাস। যা এডিসের লার্ভাতো ধ্বংস করতে পারবেই না বরং উদ্ভিদ ও প্রাণীকে ধ্বংস করে দেবে।
পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. রেজোয়ান হোসাইন ভূইয়া বলেন, হারপিকের ভেতরে শক্তিশালী এসিড থাকে। এটি বেসিনে বা কমোডে ঢাললে তা সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নদী বা বঙ্গোপসাগরে যাবে। এর ফলে নষ্ট হবে পরিবেশ ও সমুদ্রসম্পদ।
গুজব বন্ধে এখনই বিশেষ মনিটরিং সেল গঠনের পরামর্শ তথ্য প্রযুক্তিবিদদের। আর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে সাধারণ মানুষকেও।
প্রযুক্তিবিদ সালাউদ্দিন সেলিম বলেন, সরকারি কেন্দ্রীয় টিমের পাশাপাশি সচেতন সাধারণ মানুষকে নিয়ে টিম করা উচিত, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এসব গুজব প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
ডিএমপির অপরাধ সেকশনের যুগ্ম কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে এসব গুজব সম্পর্কে বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
তবে তারাও বলছেন, গুজব বন্ধে সচেতনতার বিকল্প নেই।