সিলভার কার্প মাছের নুডলস উদ্ভাবন করলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সম্প্রতি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ফাতেমা হক শিখার নেতৃত্বে এই গবেষণা দলে আরও ছিলেন সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থী লাবিবা ফারজানা পল্লবি এবং শামছুননাহার সীমা।
ড. ফাতেমা হক বলেন, সিলভার কার্প মাছে কাঁটা বেশি থাকায় অনেকেই এই মাছ খেতে চায় না। এতে মাছচাষিরা দাম পান না। অথচ এই মাছের তুলনামূলকভাবে দাম কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ সহজেই বেশি আমিষ পেতে পারে। এখন এই মাছ দিয়ে নুডলস তৈরি করায় সিলভার কার্পের বিক্রি বাড়বে। তাতে মাছচাষিরা দাম পাবেন এবং সাধরণ মানুষও সহজেই আমিষ পেতে পারেন।তিনি বলেন, নুডলসে আমরা ২৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ মাছের কিমা ব্যবহার করেছি। তবে এর পরিমাণ বেশি ও কমও হতে পারে। আর অন্যান্য নুডলসের সাথে যেমন ডিম ও শবজি ব্যবহার হয়ে থাকে, তেমনি এই নুডলসেও স্বাদ বাড়াতে ডিম ও শবজি ব্যবহার করা যাবে। তবে কেউ যদি শুধু লবণ দিয়ে সেদ্ধ করেও খায় তাহলেও সে ৩৫ শতাংশ আমিষ পাবে।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থায়ন ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের সহযোগিতায় গত দুই বছরে এই গবেষণা করা হয়।প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে ফাতেমা হক বলেন, প্রথমে সিলভার কার্প থেকে মাংসল অংশ সংগ্রহ করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাছের স্বাদ, গন্ধ ও সংরক্ষণের বিভিন্ন নিয়ামক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। শেষে সব উপকরণ মিশিয়ে নুডলস তৈরি হয়।নুডলসটি বাজারজাতকরণ সম্পর্কে এই গবেষক বলেন, আমরা বিজ্ঞানিরা কোনো কিছু উদ্ভাবন মানুষের উপকারে ব্যবহার করতে। আর এই গবেষণাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। আমরা আশা করছি মানুষের আমিষের চাহিদা ও একইসাথে খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে কোনো কোম্পানি এগিয়ে আসবে।প্রতি ১০০ গ্রাম ফিস নুডুলসে আমিষের পরিমাণ আছে ২৩.৮০ শতাংশ, লিপিডের পরিমাণ ৮.৬ শতাংশ, শর্করার পরিমাণ ৫৫.৫৪ শতাংশ, অ্যাশ ২.৯৭ শতাংশ এবং পানির পরিমাণ ৯.০৯ শতাংশ।এছাড়াও ১০০ গ্রাম নুডুলস থেকে মোট ৩৯৪.৭৬ ক্যালরি পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে।
সুত্র : আর টি ভি