গত চার বছরে ঘরের মাঠে একটা ওয়ানডে সিরিজও জেতেনি শ্রীলঙ্কা। তারা সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০১৫ সালের নভেম্বরে। ক্যারিবীয়দের ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর প্রায় ৪৪ মাস কেটে গেলেও সিরিজ জয়ের মুখ দেখেনি ‘৯৬ বিশ্বকাপ জয়ীরা। অবশেষে এমন দুর্বিষহ অধ্যায়ের ইতি টানল বাংলাদেশকে দিয়ে।
বিশ্বকাপ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রেমাদাসায় মুখোমুখি হয় দু’দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে পিছিয়ে পড়ে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।আজ প্রেমাদাসায় দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইতে নেমেও বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।কলম্বোর প্রেমাদাসায় টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। টাইগার ব্যাটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শুরু থেকেই ধুকতে থাকে বাংলাদেশ দল।তামিম করেন ১৯, সৌম্য ১১, মোহাম্মদ মিঠুন ১২, মাহমুদুল্লাহ ৬, সাব্বির রহমান ১১, মোসাদ্দেক হোসেন ১৩, তাইজুল ৩ ও মোস্তাফিজ করেন ২ রান।তবে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৯৮ রান আর শেষদিকে মেহেদী মিরাজের ৪৩ রানে ভর করে ৫০ ওভারে ২৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।লঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নুয়ান প্রদীপ, ইসুরু উদানা ও আকিলা ধনঞ্জয়া। বাংলাদেশের দেয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্য টপকানোর লক্ষ্যে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা।লঙ্কান দুই উদ্বোধনীর শুরুটা একেবারে খারাপ হয়নি। আভিশকা ফার্নান্দো আর দ্বীমুথ করুণারত্নের জুটি থেকে আসে ১১ ওভার ৩ বলে ৭১ রান।আভিশকা যখন একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন ঠিক তখনই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দ্বীমুথ করুণারত্নে ২৯ বলে ১৫ রান করে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মিরাজের বলে।এরপর কুশল পেরেরাকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়ে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করেন ফার্নান্দো। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা ফাররান্দোকে ৮২ রানের মাথায় ফিরিয়ে বাংলাদেশ দলে স্বস্তি ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ৭৫ বলে ৮২ রান করে তামিমের কাছে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এই লঙ্কান ওপেনার। এরপর কুশল পেরেরাকেও ৩০ রানে ফেরান মোস্তাফিজই।ফার্নান্দো আর কুশলের বিদায়ে খানিক স্বস্তি মিললেও কুশল মেন্ডিস আর এঞ্জেলো ম্যাথুসের জুটি অস্বস্তিতে ফেলে দেয় টাইগার বোলারদের। এই দু’জনের ৯২ রানের জুটিতে ভর করে ৩২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের ব্যাটে আসে ৪১ রান ও ম্যাথুস করেন ৪৮ রান।বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজ ও ১টি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ। ১ ম্যাচ হাতে রেখেই লঙ্কানরা সিরিজ নিশ্চিত করায় ৩১ জুলাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা নিছক সৌজন্যতার ম্যাচে ঠেকেছে।