মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:- যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামে ২৪ শে জুলাই ইমরোজ হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা,অপরটি অস্ত্র এবং অপরটি পুলিশ আহত মামলা।সূত্রগুলো জানিয়েছেন,ইমরোজ হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় সেলিম রেজা পান্নুসহ ১৩ জনের নামে নিহতের পিতা নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহুরী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই হত্যা মামলায় পুলিশ এজাহার ভূক্ত আসামী মোস্তফা ওরফে মোস্তসহ ৩ জনকে ঘটনার দিবাগত ২৪ জুলাই রাতে গ্রেফতার করে।এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল পুলিশ উদ্ধার করেছে। অপরদিকে,ঘটনার দুপুরে পুলিশ কর্মকর্তাদের মারধরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।এছাড়া, সেলিম রেজা পান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পিস্তলের গুলি ম্যাগজিন উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সেলিম রেজা পান্নু ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে। হত্যাকান্ডের পর মোস্ত শহরের শংকরপুরের ইসাহক সড়কের এলাকায় আত্মগোপন করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মোস্তর কাছ থেকে পুলিশ একটি আরটিআর ব্রান্ডের মোটর সাইকেল জব্দ ইমরোজ হোসেন হত্যা মামলার অপর আসামিরা হচ্ছেন,যশোর চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার মৃত তৌহিদুল ইসলামের ছেলে আকিবুর,ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়ার মোঃআযমের ছেলে মোস্তফা ওরফে মোস্ত,যশোর বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আলী,চাঁচড়া ডালমিল এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে স্বাধীন,ভাতুড়িয়া দাইপাড়ার শাহজাহানের ছেলে আব্দুর রহিম,চাঁচড়া গোলদার পাড়ার কানা খোকনের ছেলে শাহিন,বাবুর ছেলে রনি,ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরের এনামুল সরদারের ছেলে নাজমুল,ভাতুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার রাজা মিয়ার ছেলে তানভীর,ঝাউদিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সজল ও ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়ার আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাগরের ছেলে ইয়াসিন বিশ্বাস।বাদি তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন,যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (২৯)ও যশোর চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে সিনথিয়া আক্তার টুকটুকি গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে করে তার ভাতুড়িয়া হরিণার বিলের মৎস্য ঘেরে আসেন।এ সময় তার ছোট ছেলে ইসরাজুল ইসলাম তারা ঘেরে কেন এসেছেন তা জানতে চান।জবাবে যুবক-যুবতী জানান যে,তারা বিবাহিত।ঘেরে তারা বেড়াতে এসেছেন।এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়।পরে ইসরাজুল ইসলাম তার বড় ছেলে ইমরোজ হোসেনকে খবর দিলে তিনি ঘেরে ছুটে যান।এরপর দুপুর পৌনে একটার দিকে ওই ঘেরে যান আসামি আলী,রিংকু,স্বাধীন, শাহিন,রহিম ও রনি।তারা এ সময় আলাউদ্দিন ও সিনথিয়া আক্তার টুকটুকিকে আসামি সেলিম রেজা পান্নুর অফিসে নিয়ে যেতে চাইলে তার দুই ছেলে এতে বাধা দেন। ফলে গোলাযোগ বাধলে দু পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনা ঘটে।এ সময় উল্লিখিতরা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর আসামি সেলিম রেজা পান্নুর নির্দেশে দুপুর দেড়টার দিকে ৯ জন আসামি তিনটি মোটরসাইকেলে তার মৎস্য ঘেরের সামনে যান।সেখানে আগে থেকে আরও দু জন আসামি অবস্থান করছিলেন।এদের মধ্যে আসামি রনি তার ছেলেকে ছুরিকাঘাত ও আসামি আকিবুর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বুকে গুলি করেন।এদিকে পুলিশ এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে দায়েরকৃত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।