নানা কারণে রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেতে পারে। অনেকের আবার ঘুমের সমস্যাও আছে। বিশেষ করে রাতে একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর ঘুম আসতে চায় না। ঘুমের জন্য তখন বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ মারাত্মক।
প্রধানত শ্বাস প্রঃশ্বাসে বাধা পাওয়ার কারণেই ঘুম ভেঙে যায়। এর ফলে ব্যথা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অস্বস্তি, ট্রমা, গা গরম অথবা খুব ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙার সমস্যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম ভাঙার এই সমস্যা বাড়তে শুরু করার অর্থ হার্ট এবং রক্ত চলাচলের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সাথে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। ঘুম ঠিকমতো না হলে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই আমাদের প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম প্রয়োজন। এজন্য ঘুম ভাঙার পর আবার চোখে ঘুম আনতে যা করবেন-
ঘুমানোর আগে পানি কম পান করাঃ সারাদিন পানি খাওয়া হয় না বলে, বাড়ি ফিরে অনেকেই একবারে বেশি পানি খেয়ে নেন। এর ফলে রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ পায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই শুতে যাওয়ার আগে বেশি পানি না খাওয়াই ভালো।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে না থাকাঃ ঘুম ভাঙলেই অনেকের ঘড়ি দেখার অভ্যাস আছে। চিকিৎসকদের মতে, রাতে ঘুম ভেঙে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে মনে অজানা এক আতঙ্ক বা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যদি সময় দেখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ফোনের ঘড়ি দেখুন।
ঘুমানোর আগে রাতে কফি বা অ্যালকোহল পান না করাঃ বিছানায় যাওয়ার আগে অনেকেরই সামান্য হলেও কফি বা অ্যালকোহল পানের অভ্যাস আছে। ঘুম আনতে সাহায্য করে ট্রিপটোফ্যান নামক এক যৌগ। তার ক্ষরণ আটকে দিতে পারে অ্যালকোহল। ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
পোষ্যকে দূরে রাখাঃ ঘুমের সময় পোষ্যকে কাছে নিয়ে শুতে ভালোবাসেন অনেকে। কিন্তু বিছানায় লেগে থাকা পোষ্যের লোম যদি নাকে-মুখে ঢুকলে, অ্যালার্জির আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ক্রমাগত হাঁচি, কাশি থেকেও ঘুম নষ্ট হতে পারে।
মন শান্ত রাখার চেষ্টাঃ ঘুমাতে যাওয়ার আগে এমন কোনো ছবি, সিনেমা বা গল্প দেখবেন না বা পড়বেন না, যা থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। এর বদলে নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য কিছুক্ষণ যোগাসন করতে পারেন। হালকা কোনো যন্ত্রসংগীত শুনতে পারেন।
তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন মানসিক শান্তি। তাই প্রয়োজন নিয়মিত মেডিটেশন করা। সমস্যা অতিরিক্ত হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন