মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার প্রবাসীর স্ত্রী দিলারা বেগম নামে এক তালাকপ্রাপ্ত গৃহিনী দুই সন্তান রেখে উধাও হওয়ার রহস্য উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। পরকীয়া প্রেমিক সজ্জাদ ওরফে টুনটুন পুলিশের হাতে আটকের পর অনেকটা খোলাসা হওয়ার পথে দিলারার উধাও হওয়ার রহস্য উদঘাটনে।
জানা যায়, প্রবাসী জনাব আলীর পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করলে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তৎপর হয়। বেরিয়ে আসে তার সাবেক স্ত্রী দিলারা বেগম উধাও হওয়ার আসল রহস্য। উধাও হওয়ার ৬ সপ্তাহ পর গত ৯ জুলাই পুলিশ দিলারার পরকীয়া প্রেমিক টুনটুনকে (২২) আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। টুনটুন দিলারা বেগমকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ফলে দিলারা বেগমের ভাই কুটন মিয়ার কূটকৌশল অবশেষে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশি হস্তক্ষেপে। অথচ দিলারার ভাই কুটন মিয়া পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন তার বোনকে জনাব আলীর আত্মীয়স্বজন অপহরণ করেছে। কিন্তু দিলারার দুই ছেলে আমিন (১০) ও আমিনুলের (৭) জবানবন্দীর ফলে কুটন মিয়ার কূটকৌশল পণ্ড হয়ে যায়।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
প্রবাসী জনাব আলীর পরিবার গত ২৮ জুন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের সাথে সরাসরি দেখা করেন প্রবাসীর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে। পুলিশ সুপার ২ শিশুর বক্তব্য ও প্রবাসীর পরিবারের বক্তব্য শুনে বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (কুলাউড়া সার্কেল) নির্দেশ দেন। যদিও দিলারা বেগম কোথায় আছে তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে প্রবাসী জনাব আলীর ভাই আইয়ুব আলী বলেন, কুটন মিয়া একজন মাদক কারবারি। মূলত তার কৌশলেই দিলারা বেগম আত্মগোপনে গেছে। দিলারার ২ শিশু সন্তান আমাদেরকে ও পুলিশ সুপারের কাছে সব কিছু বলেছে। আমার ভাইয়ের ৪ লাখ টাকাও নিয়ে পালিয়ে যায় দিলারা।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আমি তাদের কথা শুনে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ অন্যায়ভাবে কাউকে হেনস্তা করবে না।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি