কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ডোমার উপজেলার সব শ্রেণীর মানুষ দুর্ভোগে ভুগছে। বিশেষ করে দূর পাল্লার সরকারি বেসরকারি কর্মরতরা তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে সড়ক পথে ছোট ছোট যানবাহনে চাকুরী বাঁচাতে ছুটছে। আবার কেউ কেউ বেড়াতে এসে বা বেড়াতে গিয়ে টানা ১১ দিন থেকে আটকা পড়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ঝিমিয়ে পড়েছে। কে দেখবে এই সমস্ত অসহায় মানুষের আত্মনাত। এদিকে যে সমস্ত ট্রেন গুলি আটকা পড়েছে সেই সমস্ত ট্রেনের কর্মরতরা থাকা-খাওয়া নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলাহাটি রেল স্টেশন সূত্র জানা গেছে, কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ১৯ জুলাই সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনের সময় থেকে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে চিলাহাটি রেল স্টেশনে ঢাকা গামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস, নীলসাগর আন্তঃনগর, রাজশাহী গামী বরেন্দ্র আন্তঃনগর, খুলনাগামী সীমান্ত আন্তঃনগর ও রকেট মেইলসহ এ ৫টি ট্রেন আটকা পড়েছে। ওই ৫টি ট্রেন ১১ দিন থেকে দাঁড়িয়ে আছে চিলাহাটি রেল স্টেশন। চিলাহাটিতে আটকে থাকা ৫ টি ট্রেনের ইঞ্জিন ও রেগগুলি পড়ে থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে হতাশায় ভুগছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। কারণ চিলাহাটি রেলস্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে আরএনবি ব্যারাকে জনবলের অভাবে মাত্র ৫ জন সদস্য রয়েছে। সীমান্তবর্তী জনবহুল চিলাহাটি রেল স্টেশন নিরাপত্তা জোরদার করা রেল কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রেনগুলি চলাচল বন্ধ হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর টিকিট সংগ্রহ করা শত শত ট্রেন যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম ও সাইদুর রহমান বলেন, ট্রেনগুলি চলাচল বন্ধ থাকায় জনসাধারণের চলাচল ধমকে গেছে । যোগাযোগের কারণই সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিসহে কাটছে।
চিলাহাটি আরএনবি ইনচার্জ মোঃ নেছারউজামান বলেন, জনবলের অভাবে এখানে ৪জন সিপাই নিয়োজিত রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আটকে থাকা ট্রেন গুলির নিরাপত্তা জোরদার রাখা হয়েছে।
চিলাহাটি রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া মাত্রই ট্রেনগুলি চলাচল শুরু করা হবে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১০:২১ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি