বিপিএলে আগের নয় আসরের মধ্যে সর্বোচ্চ চার বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দশম আসরের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে রংপুরকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে কোচ সালাউদ্দিনের শিষ্যরা। রংপুরকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চলতি বিপিএলের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে রংপুর রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে ৯ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। এতে রংপুরকে ফাইনালে উঠতে হলে দ্বিতীয় কোয়ারিফাইয়ার ম্যাচে বরিশালকে হারাতে হবে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ আউট হন সুনিল নারিন। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়ে তাওহীদ হৃদয়। লিটন দাস কিছুটা ধীরে রান তুললেও ব্যাট চালাতে থাকেন হৃদয়। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই টাইগার ব্যাটার।
অপর প্রান্ত থেকে ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটনও। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে ছুটতে থাকে কুমিল্লা। ১৫তম ওভারে হৃদয়কে আউট করে রংপুরকে ব্রেকথ্রু এনে দেন আবু হায়দার রনি। ৪৩ বলে ৬৪ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ১৭তম ওভারের তৃতীয় ওভারে জনসন চালর্সকে সাজঘরে ফেরান ফারুকী। এরপর লিটনকে সঙ্গ দেন মঈন আলী। ৫৭ বলে ৮৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আউট হন লিটস দাস।
শেষ পর্যন্ত মঈম আলীর ৬ বলে ১২ রানে ভর করে ৯ বল এবং ছয় উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ফজল হক ফারুকী। এ ছাড়াও আবু হায়দার রনি এবং মাহেদী হাসান একটি করে উইকেট নেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে ১০ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করে রনি তালুকদার। পরের ওভারে দ্বিতীয় বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন শামীম পাটোয়ারী।
সাকিব আল হাসান ৯ বলে ৫ রান করে রাসেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন।। দলীয় ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টেবিল টপাররা।
এরপর শেখ মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জেমি নিশাম। ২২ বলে ১৭ রান করে মাহেদী আউট হলে ৯ বলে ১৪ রান করে মাহেদীকে সঙ্গ দেন নিকোলাস পুরান।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন নিশাম। শেষ দিকে নিশামেন সঙ্গে জুটি পড়েন নুরুল হাসান সোহান। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে রংপুর।
১৯তম ওভারে শেষ বলে রাসেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন সোহান। ২৩ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রাইডার্স অধিনায়ক। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন নিশাম।
নিশামের ৪৯ বলের অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ভর করে ১৮৫ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর। নিশাম তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজিয়েছেন আট বাউন্ডারি এবং সাতটি ওভার বাউন্ডারি মেরে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম