ইনজুরি থেকে ফিরে আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে দুর্দান্ত ঝলক দেখিয়েছেন মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এ যেন এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। এমন মেসিকেই দীর্ঘদিন মিস করছে বিশ্ব ফুটবল। ইনজুরি কাটিয়ে নতুন এ প্রত্যাবর্তন এ চিরচেনা মেসিকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। এতে কপাল পুড়েছে ফিলাডেলফিয়ার, হেরেছে ৩-১ গোলে।দলকে জেতানোর পথে এদিন নতুন একটি রেকর্ডও গড়েছেন মেসি।
ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচটিতে দুটি গোল ও এক অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এ নিয়ে এমএলএসে ১৯তম ম্যাচ খেললেন আলবিসেলেস্তে ফরোয়ার্ড। লিগটিতে তিনি ১৫ গোল ও ১৫ অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে, যা এমএলএসের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। সমান সংখ্যক গোলের রেকর্ড গড়া সেবাস্তিয়ান জিওভিনকোর লেগেছিল ২৯ ম্যাচ। অর্থাৎ ১০ ম্যাচ কম খেলেই মেসি তার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
৩৭ বছর বয়সেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন আজ মাঠে ফিরলেন দুই মাস দু’দিন পর। ইন্টার মায়ামির হিসাবে সেই সময়টা তিন মাসেরও বেশি।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে ৪ মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে মায়ামিকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান। এর আগে সফরকারী ফিলাডেলফিয়া এগিয়ে যায় মাত্র তিন মিনিটেই। মেসিকে দুটি গোলের যোগান দিয়েছেন সাবেক দুই বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও জর্দি আলবা। ২৬ মিনিটে সেন্ট্রাল বক্সে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে ডান পায়ে শট নেন। এরপর ৩০ মিনিটে আলবার বাড়ানো বল এক স্পর্শে জালে জড়ান মেসি।
রেকর্ড গড়া প্রত্যাবর্তনের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি কিছুটা ক্লান্ত। মায়ামির গরম এবং আর্দ্রতা সহায়ক নয়। তবে আমি মাঠে ফিরতে উন্মুখ ছিলাম। মাঠ থেকে দূরে থাকার সময়টা অনেক লম্বা হয়ে গিয়েছিল।’
চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে আনন্দিত মেসি আরও বলেছেন, ‘ধীরে ধীরে আমি দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করি এবং ভালো অনুভব করতে থাকি। এ কারণে আমি শুরু থেকে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। আমি খুবই আনন্দিত এবং তৃপ্ত।’
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম