তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ‘তিস্তা বাঁচাও,নদী বাঁচাও’ রাজারহাটে বিএনপি’র যৌথ আয়োজনে সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কুড়িগ্রাম, রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এ সমাবেশে অংশ নেন।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর মরণদশা হয়। আর বর্ষায় উজানের পানিতে নদীর তীরে বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষেরা। তিস্তাপারের মানুষের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না।এতে তিস্তাপারের মানুষ আশায় বুক বাঁধে।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন,অবিলম্বে তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সাথে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ,তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখাগুলোর সাথে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন ও নৌ চলাচল পুনরায় চালুর দাবি জানাই।
আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে।
শফিকুল ইসলাম বেবু বলেন, নদীভাঙনের শিকার ভূমি-গৃহহীন ও মৎস্যজীবী মানুষের পুনর্বাসন, তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও এর তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় ও কৃষিভিত্তিক কলকারখানা গড়ে তোলা এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তাপারের মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আজ ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:০৪ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি