কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গত দুই সপ্তাহের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা গুলো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে প্রতিদিন সকাল ১১ টা পর্যন্ত অব্যাহত ঘন কুয়াশার কারনে চারাগুলো হলুদ ও লালচে বর্ণ ধারণ করে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে আসন্ন ইরি- বোরো মৌসুমে চারা সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
উপজেলার পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের কৃষক নকিবুল ইসলাম, হোসেন আলী, পুর্ব ফুলমতি গ্রামের জয়নুল আবেদীন জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ছে। ঘনকুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সুর্য দেখা যাচ্ছে না। শীতের কারনে বোরো ধানের চারাগুলো হলুদ ও লাল বর্ণ ধারণ করে গোড়ায় পচন ধরে মরে যাচ্ছে। ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বীজতলায় বাড়তি পানি দিয়েও তেমন কোনও উপকার হচ্ছে না। এভাবে শীত ও কুয়াশা চলতে থাকলে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ইরি- বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ১০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ইরি – বোরো রোপনের লক্ষমাত্রা নিয়ে উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৫৪০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজ বপণ করা হয়েছে। সব বীজতলা কোল্ড ইনজুরীতে আক্রান্ত না হলেও কিছু কিছু বীজতলা আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। আমরা কৃষকদেরকে ছত্রাকনাশক স্প্রে বা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দেয়ার পরামর্শও দিচ্ছি।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান